ইগনিশন বা জ্বালানি দহন পদ্ধতি
ইগনিশন বা জ্বালানি দহণ পদ্ধতি বলতে আমরা মূলত পেট্রোল ইঞ্জিনের জ্বালানি দহন ঘটানোর পদ্ধতিকে বুঝে থাকি। ডিজেল ইঞ্জিনের ফুয়েল সিস্টেম আর প্রজ্জলন (ইগনিশন) পদ্ধতি একই ব্যাপার। তাই এখানে নতুন কোন কিছু বলার নেই। তবে পেট্রোল ইঞ্জিনের ফুয়েল সিস্টেমে কার্বুরেটরের বাতাস এবং জ্বালানির মিশ্রণ ঘটিয়ে তা ইঞ্জিন সিলিন্ডারে প্রবেশ করানোর পর দহণ ঘটানোর জন্য কিছু অতিরিক্ত ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। এই যন্ত্রাংগুলোকে একত্রে ইগনিশন সিস্টেম বা জ্বালানি দহন পদ্ধতি বলা হয়। ডিজেল ইঞ্জিনে মূলত সংকুচিত বাতাসের মধ্যে উচ্চ চাপে ডিজেল ফুয়েলকে স্প্রে করলে জ্বালনি দহন ঘটে। কিন্তু পেট্রোল ইঞ্জিনে জ্বালানি এবং বাতাসের মিশ্রণকে সংকুচিত করা হয় এবং সংকোচন অনুপাত, চাপ এবং তাপমাত্রা ডিজেল ইঞ্জিনের চেয়ে কম থাকে বিধায় একে বাইরে থেকে কোন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে জ্বালানো হয়ে থাকে। পেট্রোল জ্বালানির দহন ঘটানোর জন্য ইলেকট্রিক স্পার্ক এর ব্যবহার করা হয়। উচ্চ ভোল্টেজে বাতাস এবং জ্বালানির মিশ্রণের মধ্যে বৈদ্যুতিক স্পার্ক ঘটানোর ফলে যে স্ফিুলিঙ্গ তৈরি হয় তার দ্বারা পেট্রোল জ্বালানি দহন ঘটে থাকে। অনেক সময় আমরা পেট্রোল ইঞ্জিনের জ্বালানি পদ্ধতি এবং ইগনিশন পদ্ধতিকে একই মনে করে থাকি, কিন্তু আসলে দুটি পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই ইগনিশন পদ্ধতি আবার নানা প্রকারের হয়ে থাকে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
চিত্রঃ- প্রচলিত ব্যাটারি কয়েল ইগনিশন সিস্টেম।
ইগনিশন সিস্টেমকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১। কম্প্রেশন ইগনিশন সিস্টেম (Compression
Ignition System)t- ইহা ডিজেল ইঞ্জিনের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ডিজেল ইঞ্জিনের জ্বালানি পদ্ধতিতে আলোচ্য বিষয়টিই হল কম্প্রেশন ইগনিশন সিস্টেম। এ প্রকৃয়ায় সংকুচিত বাতাসের মধ্যে ডিজেল জ্বালানি স্প্রে করে দহন ঘটানো হয়। যেহেতু ডিজেল জ্বালানি পদ্ধতি এবং কম্প্রেশন ইগনিশন পদ্ধতি একই বিষয় তাই এ সম্পর্কে এখানে আর তেমন কিছু আলোচনা করা হল না।
২। স্পার্ক ইগনিশন সিস্টেম (Spark
Ignition System) t- স্পার্ক ইগনিশন সিস্টেম মূলত পেট্রোল ইঞ্জিনে ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতিতে সংকুচিত বাতাস এবং জ্বালানির মিশ্রন কিছু যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক স্পার্ক দ্বারা প্রজ্জলন ঘটানো হয়ে থাকে। এ পদ্ধতি সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
স্পার্ক ইগনিশন পদ্ধতিকে আবার নি¤œলিখিত ভাগে ভাগে ভাগ করা যায়ঃ-
১। প্রচলিত ব্যাটারি কয়েল ইগনিশন সিস্টেম।
২। ম্যাগনেটো ইগনিশন সিস্টেম।
৩। ব্যাটারি সি. ডি. আই ইগনিশন সিস্টেম।
৪। ইলেকট্রনিক্স ইগনিশন সিস্টেম।
এই সকল পদ্ধতিগুলোর মধ্যে বর্তমানে প্রচলিত ব্যাটারি কয়েল ইগনিশন সিস্টেম বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে আরো একটি সিস্টেমের ব্যবহার উন্নত বিশ্বে শুরু হয়েছে। তা হল ইলেকট্রনিক্স ইগনিশন সিস্টেম। এটি বিভিন্ন সেনসরের মাধ্যমে কাজ করে থাকে বিধায় এটির দক্ষতা বেশি এবং নির্ভূলভাবে কাজ করতে সক্ষম। তবে আমাদের দেশে এ ধরণের পদ্ধতির ব্যবহার কম বা নেই বললেই চলে। আমাদের দেশে প্রচলিত ব্যাটারি কয়েল ইগনিশন সিস্টেম এবং ব্যাটারি সি.ডি.আই সিস্টেম বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এ অনুচ্ছেদে প্রচলিত ব্যাটারি কয়েল ইগনিশন সিস্টেম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
ইগনিশন পদ্ধতিতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহঃ-
১। ব্যাটারি (Battery)
২। ইগনিশন সুইচ (Ignition
Switch)
৩। ইগনিশন কয়েল (Ignition Coil)
৪। ডিস্ট্রিবিউটর (Distributor)
৫। সিবি পয়েন্ট (CB Point)
৬। কন্ডেন্সার (Condenser)
৭। হাই টেনশন লিড (High Tension
Lead)
৮। স্পার্ক প্লাগ (Spark Plug)
৯। স্পার্ক এ্যাডভান্স মোকনিজম (Spark Advance Mechanism)
নিম্নে এই যন্ত্রাংশ সমূহের কাজ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলঃ-
১। ব্যাটারি (Battery) t- ইগনিশন পদ্ধতিতে বৈদ্যুতিক শক্তির মূল উৎস হিসেবে একটি রিচার্জএবল এসিড ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি মূলত ৬/১২ ভোল্টের হয়ে থাকে। এটির বিদ্যুৎকে ব্যবহার করে ইগনিশন সিস্টেম চলে। এ ব্যাটারিকে চার্জ করার জন্য আবার আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। এটি চার্জিং সিস্টেম অনুচ্ছেদে আলোচনা করা হয়েছে।
২। ইগনিশন সুইচ (Ignition Switch) t- এটিকে মূলত ইগনিশন সুইচ বলা চলে না কারণ এটি শুধু ইগনিশন সিস্টেম নয় একটি মোটরযানের সকল প্রকার ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমকে চালু এবং বন্ধ করতে কাজ করে থাকে। এটি বন্ধ থাকলে ইগনিশন সিস্টেমের সার্কিটে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ থাকে। এটি সমস্ত ইগনিশন সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রন করে।
২। ইগনিশন সুইচ (Ignition Switch) t- এটিকে মূলত ইগনিশন সুইচ বলা চলে না কারণ এটি শুধু ইগনিশন সিস্টেম নয় একটি মোটরযানের সকল প্রকার ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমকে চালু এবং বন্ধ করতে কাজ করে থাকে। এটি বন্ধ থাকলে ইগনিশন সিস্টেমের সার্কিটে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ থাকে। এটি সমস্ত ইগনিশন সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রন করে।
৩। ইগনিশন কয়েল (Ignition Coil) t- এটি একটি স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার যা ব্যাটারির নি¤œ ভোল্টেকে অনেক উচ্চ ভোল্টে উন্নিত করে থাকে। সাধারণ এর মান ২০,০০০ থেকে ৪০,০০০ ভোল্ট পর্যন্ত বা তার চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। জ্বালানি প্রজ্জলনে যেহেতু অনেক উচ্চ ভোল্টের প্রয়োজন হয় এবং উচ্চ ভোল্টের কোন উৎস এখানে না থাকায় ইগনিশন কয়েল দ্বারা ব্যাটারির নি¤œ ভোল্টেজকে উচ্চ ভোল্টেজে পরিণত করে ব্যবহার করা হচ্ছে।
৪। ডিস্ট্রিবিউটর (Distributor) t- একটি বহু সিলিন্ডার বিশিষ্ট ইঞ্জিনে সব সিলিন্ডারে একই সাথে অথবা ক্রম অনুযায়ি দহন ঘটে না। যদি ক্রম অনুসারে দহন ঘটতো তাহলে ইঞ্জিনে প্রচন্ড ঝাকুনির সৃষ্টি হতো যা প্রশমিত করা সম্ভব নয়। তাই ইঞ্জিন সিলিন্ডারের ক্রম অনুসারে দহন না ঘটিয়ে কিছুটা এলোমেলোভাবে দহন ঘটানো হয়ে থাকে। আর সঠিক সময়ে সঠিক সিলিন্ডারে দহন/স্পার্ক ঘটানোর জন্য যে ডিভাইসটি ব্যবহার করা হয় তা হল ডিসট্রিবিউটর। এর মাঝে একটি রোটর থাকে এবং অনেকগুলো কন্টাক্ট পয়েন্ট থাকে যা এক একটি সিলিন্ডারের স্পার্ক প্লাগের সাথে সংযোগ করা থাকে। এই রোটর ঘুরে নির্দিষ্ট পয়েন্টে সংযোগ ঘটিয়ে ঐ সিলিন্ডারে প্রজ্জলন ঘটিয়ে থাকে।
৫। সিবি পয়েন্ট (CB Point) t- এর পূর্ণ নাম হল কন্টাক্ট ব্রেকার পয়েন্ট। ইগনিশন সিস্টেমে ইগনিশন কয়েলে প্রাইমারি সার্কিটকে যথাসময়ে যুক্ত এবং বিযুক্ত করাই সিবি পয়েন্টের মূল কাজ। সিবি পয়েন্ট দ্বারা প্রাইমারি সার্কিট ব্রেক হলেই একমাত্র সেকেন্ডারি সার্কিটে হাই ভোল্টেজ উৎপন্ন হবে। এটির মাঝে একটি গ্যাপ থাকে যেটির মানের পরিবর্তন হলে ইগনিশন টাইমিং ঠিক থাকে না ফলে তা আবার সমন্বয় করার প্রয়োজন পড়ে।
6| K‡ÛÝvi (Condenser) t- `ywU cwievnx c`v_©‡K GKwU
Acwievnx c`v_© Øviv c„_K K‡i G‡`i gv‡S we`y¨r Pvjbv Ki‡j GwU wKQz mg‡qi Rb¨
we`y¨r aviY K‡i ivL‡Z cv‡i| G‡K K‡ÛÝvi ejv nq| G‡K K¨vcvwmUi I ejv n‡q _v‡K| K‡ÛÝvi
wmwe c‡q›U †Lvjvi g~û‡Z© †ekwKQz Kv‡i›U Rgv iv‡L Ges wmwe c‡q›U eÜ Ae¯’vq K‡ÛÝvi
RgvK…Z Kv‡i›U cÖvBgvwi mvwK©‡U †diZ cvVvq| G‡Z K‡iB †m‡KÛvwi K‡q‡j nvB †fv‡ëR
Drcbœ nq| wmwe c‡q‡›Ui M¨v‡c AwZwi³ ¯úvK© cÖwZnZ Kivi Kv‡RI K‡ÛÝvi f~wgKv iv‡L|
৭। হাইটেনশন লিড (High Tension Lead) t- এটি মূলত সিসার তৈরি এক ধরণের ইনসুলেশন যুক্ত তার বিশেষ। যেহেতু ইগনিশন সিস্টেমের সেকেন্ডারি সার্কিটে অধিক পরিমাণ ভোল্টেজ থাকে তাই যে কোন সাধারণ তার ঐ ভোল্টেজ পরিবহণ করতে পারে না বরং পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই উচ্চ ভোল্টেজ পরিবহনের জন্য হাই টেনশন লিড ব্যবহার করা হয়। এটি অনেক উচ্চ ভোল্টেজ পরিবহণ করতে সক্ষম।
৮। স্পার্ক প্লাগ (Spark Plug) t- এটি এমন একটি ডিভাইস যা হাইটেনশন লিড দ্বারা আগত অতি উচ্চ ভোল্টেজ দ্বারা স্পার্ক পাওয়ার স্ট্রোকে ইঞ্জিন সিলিন্ডারের সংকুচিত বাতাস এবং জ্বালানির মিশ্রনকে প্রজ্জলন করে থাকে।
৯। স্পার্ক এ্যাডভান্স মেকানিজম (Spark
Advance Mechanism) t- ইঞ্জিন অতি উচ্চ গতিতে চলার সময় জ্বালানি প্রজ্জলনের জন্য খুবই কম সময় পায়। ফলে এত অল্প সময়ে জ্বালানি ঠিকমত প্রজ্জলিত হতে পারে না। তখন স্পার্ক এ্যাডভান্স ম্যাকানিজম জ্বালানিকে নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রজ্জলন করার ব্যবস্থা করে থাকে যাতে করে জ্বালানি পরিপূর্ণরূপে দহন ঘটার জন্য সময় পায়। এই পদ্ধতি দুই ধরণের হয়ে থাকে, একটি হল সেন্ট্রিফিউগ্যাল এ্যাডভান্স এবং অপরটি হল ভ্যাকুয়াম এ্যাডভান্স ম্যাকানিজম। এটি মূলত জ্বালানিকে কম্প্রেশন স্ট্রোক শেষ হওয়ার কিছু আগে স্পার্ক দ্বারা প্রজ্জলিত করতে সাহায্য করে ফলে অধিক গতিতে ইঞ্জিন চলার সময় জ্বালানি প্রজ্জলনের জন্য যথেষ্ট সময় পায়।
কার্যপ্রণালীঃ- প্রচলিত ব্যাটারি কয়েল ইগনিশন সিস্টেম সাধারণত স্টোরেজ ব্যাটারি, ইগনিশন সুইচ, ইগনিশন কয়েল, ডিস্ট্রিবিউটর, কন্ডেন্সার, রোটর, হাই টেনশন লিড এবং স্পার্ক প্লাগ নিয়ে গঠিত। এ পদ্ধতিতে ইগনিশন সুইচ অন করলে বিদ্যুৎ স্টোরেজ ব্যাটারি হতে ইগনিশন কয়েলের প্রাইমারি ওয়্যান্ডিং হয়ে ডিস্ট্রিবিউটরের সিবি পয়েন্ট এবং কন্ডেন্সারে যায়। সিবি পয়েন্ট বন্ধ অবস্থায় ব্যাটারির কারেন্ট ইগনিশন কয়েলের প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ম্যাগনেটিক ফিল্ডের সৃষ্টি হয়।
ডিস্ট্রিবিউটর শ্যাফট ঘুরে ক্যামলোব দ্বারা সিবি পয়েন্ট ওপেন হলে সেকেন্ডারি কয়েলের বিদ্যুৎ কন্ডেন্সারে পৌছাতে পারে না বিধায় ইগনিশন কয়েলের সেকেন্ডারিতে হাই ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়। ইগনিশন কয়েলে উৎপন্ন হাই ভোল্টেজ কারেন্ট হাই টেনশন লিড দিয়ে ডিস্ট্রিবিউটরের কার্বন দন্ড হয়ে রোটরে যায়। রোটর ঘুরে ফায়ারিং অর্ডার অনুযায়ী ডিস্ট্রিবিউটর ক্যাপের সেগমেন্ট পয়েন্টকে স্পর্শ করলে হাই টেনশন লিড এর মাধ্যমে উক্ত হাই ভোল্টেজ কারেন্ট স্পার্ক প্লাগে যায়। আর্থ এর মাধ্যমে সার্কিট সম্পন্ন হলে স্পার্ক প্লাগে বিদ্যুৎ স্ফিুলিঙ্গের সৃষ্টি হয়, যার জন্য কম্বাসন চেম্বারে সংকুচিত বাতাস এবং জ্বালানির মিশ্রণে আগুন ধরে যায় এবং ইঞ্জিন সিলিন্ডারে শক্তি উৎপন্ন হয়। এটিই বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত ইগনিশন পদ্ধতি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ইঞ্জিন চালুকরণ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ডিস্ট্রিবিউটর শ্যাফট ঘুরে ক্যামলোব দ্বারা সিবি পয়েন্ট ওপেন হলে সেকেন্ডারি কয়েলের বিদ্যুৎ কন্ডেন্সারে পৌছাতে পারে না বিধায় ইগনিশন কয়েলের সেকেন্ডারিতে হাই ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়। ইগনিশন কয়েলে উৎপন্ন হাই ভোল্টেজ কারেন্ট হাই টেনশন লিড দিয়ে ডিস্ট্রিবিউটরের কার্বন দন্ড হয়ে রোটরে যায়। রোটর ঘুরে ফায়ারিং অর্ডার অনুযায়ী ডিস্ট্রিবিউটর ক্যাপের সেগমেন্ট পয়েন্টকে স্পর্শ করলে হাই টেনশন লিড এর মাধ্যমে উক্ত হাই ভোল্টেজ কারেন্ট স্পার্ক প্লাগে যায়। আর্থ এর মাধ্যমে সার্কিট সম্পন্ন হলে স্পার্ক প্লাগে বিদ্যুৎ স্ফিুলিঙ্গের সৃষ্টি হয়, যার জন্য কম্বাসন চেম্বারে সংকুচিত বাতাস এবং জ্বালানির মিশ্রণে আগুন ধরে যায় এবং ইঞ্জিন সিলিন্ডারে শক্তি উৎপন্ন হয়। এটিই বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত ইগনিশন পদ্ধতি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ইঞ্জিন চালুকরণ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

2 মন্তব্যসমূহ
আপনার এটা একটা সুন্দর প্রয়াস । আমরা পশ্চিমবঙ্গ কমই পাই বাংলা ভাষায় Engineering subject উপর ভালো সাবলীল pdf । আপনার লেখা আমার ছাত্রদের প্রিন্ট দিতে চাই তার অনুমতি প্রার্থনা করচ্ছি । লুত্ফর রহমান
উত্তরমুছুনধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। আমি বিষয়টি নিয়ে ভেবেছি যে আমরা বাংলাতে খুব কমেই ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে লেখা পাই অনলাইনে। তাই আমি সময়ের অভাব হলেও চেষ্টা করে যাচ্ছি যতটুকু সম্ভব বাংলায় ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ্ঞান বিষয়ক লিখা প্রকাশ করার। আর জ্ঞানের আলো ছাত্রদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমার লেখা যে কেউ কপি করতে পারে। এ ব্যাপারে কোন বাধ্য বাধকতা নেই। বরং বিজ্ঞান বিষয়ে লিখালিখির ক্ষেত্রে আপনাদের মতো অভিজ্ঞজনদের সাহায্য সহায়তা পেলে উপকৃতই হবো। ধন্যবাদ।
মুছুন