ইঞ্জিনের ব্যাটারি চার্জিং পদ্ধতি
আমরা আগেই জেনেছি যে ইঞ্জিনের ইগনিশন, চালুকরণ সহ বেশকিছু কাজে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। কিন্ত ব্যবহারের ফলে এই ব্যাটারির চার্জ কমে যায় েএবং তা আর কার্য উপযোগী থাকে না। ফলে ঐ ব্যাটারিকে পুনঃরায় কার্য উপযোগী করতে হলে তাকে আবার চার্জ করতে হয়। এই ব্যাটারির চার্জ করার জন্য ইঞ্জিনের সাথে কিছু যন্ত্রাংশ ব্যাবহার করা হয়। এদের সমন্বিত পদ্ধতিকে বলা হয় চার্জিং পদ্ধতি। নিম্নে এ সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা হল।
চার্জিং পদ্ধতি প্রধাণত দুই প্রকার। যথাঃ-
১. ধীরে চার্র্জি পদ্ধতি (Slow Charging System)
২. দ্রুত চার্জিং পদ্ধতি (Quick Charging System)
ধীরে চার্জিং পদ্ধতি আবার দুই প্রকার। যথাঃ-
১. স্থির কারেন্ট পদ্ধতি (Constant Current System)
২. স্থির ভোল্টেজ পদ্ধতি (Constant Voltage System)
তবে ইঞ্জিনে যেহেতু যত্রতত্র ব্যাটারির প্রয়োজন হয়ে থাকে বিশেষ করে অটোমোবাইলে তাই এসব ক্ষেত্রে দ্রুত চার্জিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে দক্ষতার দিক থেকে বিচার করলে ধীরে চার্জিং পদ্ধতি ব্যবহার করাই উত্তম। এতে ব্যাটারির স্থায়ীত্ব বেশি থাকে। ইঞ্জিনে মূল অল্টারনেটর দ্বারা ব্যাটারিকে চার্ট করা হয়ে থাকে। ইঞ্জিনের ক্র্যাংক শ্যাফটের এক প্রান্তে পুলির সাথে বেল্ট দিয়ে এই ছোট অল্টারনেটরকে ঘুরানো হয়ে থাকে। অল্টারনেটর বা এসি জেনারেটর যে কোন গতিতেই ভোল্টেজ উৎপাদন করতে পারে বিধায় এখানে অল্টারনেটর ব্যবহার সুবিধাজনক।
১. ধীরে চার্র্জি পদ্ধতি (Slow Charging System)
২. দ্রুত চার্জিং পদ্ধতি (Quick Charging System)
ধীরে চার্জিং পদ্ধতি আবার দুই প্রকার। যথাঃ-
১. স্থির কারেন্ট পদ্ধতি (Constant Current System)
২. স্থির ভোল্টেজ পদ্ধতি (Constant Voltage System)
তবে ইঞ্জিনে যেহেতু যত্রতত্র ব্যাটারির প্রয়োজন হয়ে থাকে বিশেষ করে অটোমোবাইলে তাই এসব ক্ষেত্রে দ্রুত চার্জিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে দক্ষতার দিক থেকে বিচার করলে ধীরে চার্জিং পদ্ধতি ব্যবহার করাই উত্তম। এতে ব্যাটারির স্থায়ীত্ব বেশি থাকে। ইঞ্জিনে মূল অল্টারনেটর দ্বারা ব্যাটারিকে চার্ট করা হয়ে থাকে। ইঞ্জিনের ক্র্যাংক শ্যাফটের এক প্রান্তে পুলির সাথে বেল্ট দিয়ে এই ছোট অল্টারনেটরকে ঘুরানো হয়ে থাকে। অল্টারনেটর বা এসি জেনারেটর যে কোন গতিতেই ভোল্টেজ উৎপাদন করতে পারে বিধায় এখানে অল্টারনেটর ব্যবহার সুবিধাজনক।
চার্জিং পদ্ধতিতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহঃ-
১। অল্টারনেটর বা এসি জেনারেটর
২। রেক্টিফায়ার
৩। কাট আউট রিলে
৪।ব্যাটারি
৫। প্রয়োজনীয় ওয়্যার এবং আনুষাঙ্গিক
নিম্নে এ সকল যন্ত্রাং সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু আলোচনা করা হলঃ-
১। অল্টারনেটর বা এসি জেনারেটরঃ- চার্জিং পদ্ধতিতে ব্যাটারিকে চার্জ করার জন্য যে ভোল্টেজ বা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় তা উৎপাদন করাই এই অল্টারনেটর এর কাজ। এটি ইঞ্জিনের ক্র্যাংক শ্যাফটের এক প্রান্তে পুলির সাথে বেল্ট দিয়ে এই ছোট অল্টারনেটরকে ঘুরানো হয়ে থাকে। অল্টারনেটর বা এসি জেনারেটর যে কোন গতিতেই ভোল্টেজ উৎপাদন করতে পারে বিধায় এখানে অল্টারনেটর ব্যবহার সুবিধাজনক।
২। রেক্টিফায়ারঃ- রেক্টিফায়ারের কাজ হল অল্টারনেটরের উৎপন্ন এসি বিদ্যুৎকে ডিসি বিদ্যুৎ এ রূপান্তর করা। ব্যাটারিতে যেহেতু ডিসি বিদ্যুৎ থাকে তাই তাকে ডিসি বিদ্যুৎ দ্বারাই চার্জ করতে হয়। অন্যথায় সরাসরি এসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে ব্যাটারিটি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটারও সম্ভাবনা রয়েছে।
৩। কাট আউট রিলেঃ- এটি এক ধরণের রিলে। এটি ব্যাটারির চার্জিং এবং ডিসচার্জিং অবস্থা অনুসারে সার্কিটকে অপেন অথবা ক্লোজ করে থাকে। যখন ব্যাটারি পূর্ণ চার্জ হয়ে যায় তখন এই রিলে সার্কিটে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করে দেয় ফলে ব্যাটারি অভারচার্জ জনিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। আবার যখন ব্যাটারি ডিসচার্জ হতে থাকে তখন এই রিলে স্বয়ংকৃয় ভাবে সার্কিটে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে ব্যাটারির চার্জিং নিশ্চিত করে। এটি মূলত একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস।
৫। প্রয়োজনীয় ক্যাবল ও অন্যান্যঃ- এছাড়াও চার্জিং পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়্যার অর্থাৎ তার, কানেক্টর সহ ছোটখাটো আরো অনেক ইলেকট্রিক এবং ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস প্রয়োজন হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত এসকল পদ্ধতি আধুনিকায়ন হচ্ছে। আমি শুধু আপনাদেরকে বেসিক কিছু ধারণা প্রদান করার চেষ্টা করেছি।
৩। কাট আউট রিলেঃ- এটি এক ধরণের রিলে। এটি ব্যাটারির চার্জিং এবং ডিসচার্জিং অবস্থা অনুসারে সার্কিটকে অপেন অথবা ক্লোজ করে থাকে। যখন ব্যাটারি পূর্ণ চার্জ হয়ে যায় তখন এই রিলে সার্কিটে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করে দেয় ফলে ব্যাটারি অভারচার্জ জনিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। আবার যখন ব্যাটারি ডিসচার্জ হতে থাকে তখন এই রিলে স্বয়ংকৃয় ভাবে সার্কিটে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে ব্যাটারির চার্জিং নিশ্চিত করে। এটি মূলত একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস।
৫। প্রয়োজনীয় ক্যাবল ও অন্যান্যঃ- এছাড়াও চার্জিং পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়্যার অর্থাৎ তার, কানেক্টর সহ ছোটখাটো আরো অনেক ইলেকট্রিক এবং ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস প্রয়োজন হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত এসকল পদ্ধতি আধুনিকায়ন হচ্ছে। আমি শুধু আপনাদেরকে বেসিক কিছু ধারণা প্রদান করার চেষ্টা করেছি।
চিত্রঃ- অল্টারনেটর দ্বারা ব্যাটারি চার্জিং পদ্ধতি
কার্যপ্রণালীঃ- আমরা চার্জিং পদ্ধতির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সম্পর্কে জানলাম। এবার এই পদ্ধতি কিভাবে কাজ করে সেই সম্পর্কে সংক্ষেপে আপনাদের কিছু ধারণা প্রদান করবো।ইঞ্জিন যখন চালু থাকে এবং অল্টারনেটর ঘুরতে থাকে তখন উৎপাদিত এসি ভোল্টেজ রেক্টিফায়ার ডায়োডের মাধ্যমে ডিসিতে রূপান্তরিত হয়। উক্ত ডিসি বিদ্যুৎ কাট আউট রিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ব্যাটারিতে যায় এবং ব্যাটারি চার্জ হতে শুরু করে। ইঞ্জিনের গতি বাড়ার সাথে সাথে অল্টারনেটর এর ভোল্টেজ উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়। এ সময় ভোল্টেজ রেগুলেটর দ্বারা ঐ ভোল্টেজকে নিয়ন্ত্রন করে ব্যাটারির জন্য সহনশীল যে নির্দিষ্ট ভোল্টেজ দরকার তা সরবরাহ করা হয়। তা নাহলে অতিরিক্ত ভোল্টেজের কারণে ব্যাটারি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আবার যখন চার্জ পূর্ণ হয়ে যায় তখন কাট অফ রিলে রিলে সার্কিটে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করে দেয় ফলে ব্যাটারি অভারচার্জ জনিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। এবং ব্যবহারের ফলে যখন ব্যাটারি ডিসচার্জ হতে থাকে তখন এই রিলে স্বয়ংকৃয় ভাবে সার্কিটে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে ব্যাটারির চার্জিং নিশ্চিত করে। এভাবেই চার্জিং পদ্ধতি কাজ করে তাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রে যে সকল যায়গায় ইঞ্জিন একই যায়গাতেই বসানো থাকে অর্থাৎ অটোমোবাইল এর মত ভ্রাম্যমান নয় সেখানে অনেক ক্ষেত্রে আলাদা চার্জার এর মাধ্যমে ব্যাটারি চার্জিং এর ব্যবস্থা থাকে। যেমন বড় বড় পাওয়ার প্লান্টে ব্যবহৃত ইঞ্জিন।

0 মন্তব্যসমূহ