ট্যাপেট ক্লিয়ারেন্স রাখার প্রয়োজন কেন? 





এর উত্তর জানার আগে আমাদের এটি বিষয় জানা প্রয়োজন ট্যাপেড ক্লিয়ারেন্স মূলত কি? রকার আর্ম এবং ভালভ স্টোম এর মাঝে  যে সামান্য গ্যাপ বা ক্লিয়ারেন্স রাখা হয় তাকেই আমরা ট্যাপেড ক্লিয়ারেন্স বলি। আমরা জানি প্রতিটি মেটাল তাপের ফলে দৈর্ঘ এবং আয়তনে কিছুটা বৃদ্ধি পায়। আর যেহেতু ইঞ্জিন চলার সময় ইঞ্জিন সিলিন্ডারে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় ফলে ভালভ এর দৈর্ঘও বৃদ্ধি পায়। এখন যদি উক্ত স্থানে গ্যাপ না রাখা হয় তাহলে দৈর্ঘ বৃদ্ধির জায়গা না থাকার ফলে উক্ত ভালভটি হয় বাঁকা হয়ে যাবে নাহয় ভেঙ্গে যাবে। শুধু ভালভ নয় এর ফলে ইঞ্জিন সিলিন্ডার, সিলিন্ডার হেড সহ সংযুক্ত মেকানিজমও মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে এমনকি একটি ইঞ্জিন সম্পূর্ণরূপে ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। সুতরাং ট্যাপেড ক্লিয়ারেন্স একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ  বিষয়।

ট্যাপেড ক্লিয়ারেন্স কেন রাখতে হবেঃ-
     ১. ক্লিয়ারেন্স না রাখলে সব সময় খোলা অবস্থায় থাকবে ফলে কম্প্রেশন হবে না।
     ২. প্রয়োজনমত ভালকে খুলবার  এবং ভালভ ভাল করে সিটে বসাবার জন্য এটি একান্ত প্রয়োজন! 
     ৩. ইঞ্জিন চলাকালীন বর্ধিত তাপমাত্রায় ভালবের দৈর্ঘ্য বেড়ে গেলে যাতে ভালভ বাঁকা হয়ে কিংবা ভেঙ্গে না যায়! 

ট্যাপেট ক্লিয়ারেন্স কম বেশি হলে কি হবেঃ-
      ১. ক্লিয়ারেন্স কম হলে ভালভ আগেই খুলে যাবে!
      ২. ক্লিয়ারেন্স বেশি হলে ভালভ দেরিতে খুলবে!
      ৩. ভালভ লিড (ঢাকনা) ভেঙ্গে যেতে পারে!
      ৪. ভালভ এবং ভালভ ষ্টেম বাঁকা হয়ে যেতে  পারে!
      ৫. ষ্প্রিং এর উপর ষ্প্রিং উঠে জ্যাম হতে পারে!
      ৬. জ্বালানী ভালভাবে প্রজ্জলিত হবে না!
      ৭. হেডে কার্বণ জমা হবে!
      ৮. ইঞ্জিনের লোড নেবার ক্ষমতা কমে যাবে!
      ৯. ভালভ পুরোপুরি বন্ধ না হলে কমপ্রেশন কম হবে কিংবা হবে না! ফলে মিসফায়ার হবে!


সুতরাং ট্যাপেড ক্লিয়ারেন্স একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইঞ্জিন চলার পর একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর ট্যাপেড ক্লিয়ারেন্স এ্যাডজাষ্ট করতে হয়। সাধারণত ১০০০ ঘন্টা চলার পর তা এ্যাডজাষ্ট করতে হয়। তবে ইঞ্জিন প্রস্তুতকারী কোম্পানীর ম্যানুয়াল বা ডাটা অনুযায়ী তা কমবেশি হতে পারে।

টার্বোচার্জার এর গঠন এবং কার্যপ্রণালী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে  এখানে ক্লিক করুন।