৫০ টি মজাদার জোক্‌স

হাসতে সবাই ভালবাসে। জোক্‌সের মধ্যেই আছে বেদম হাসি আর অনাবিল আনন্দ। তাই জোক্‌স পড়তে ভালবাসেন আট থেকে আশি সকলেই। আর তাই আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম ৫০ টি মজাদার জোক্‌স।

⥮১⥯

অমল জীবনে প্রথমবার মুম্বাই গিয়েছে তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু মুম্বাইয়ের রাস্তাঘাট কিছুই চিনতে পারবে না বলে তার বাবা তাকে বলে দিয়েছেন, “স্টেশন থেকে নেমে সূর্য যেদিকে ওঠে সেই দিকেই হাঁটবি।”

কিন্তু ট্রেন থেকে নেমে অমল যথারীতি রাস্তা হারিয়ে ফেলল। অগত্যা সে আর-একটি ছেলেকে জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা, তুমি একটু বলতে পার, সূর্য কোন দিকে ওঠে? সেই দিকের রাস্তায় আমি যাব।”

ছেলেটি বলল, “আসলে আমিও এই শহরে আজই প্রথম এসেছি। তাই তোমার মতো আমিও এ ব্যাপারে কিচ্ছু জানি না।”

⥮২⥯

পরীক্ষার রেজাল্ট দেখে রিয়ার বাবা ভীষণ রেগে গেলেন। রিয়া অঙ্কে বেশ কম নম্বর পেয়েছে। কিন্তু তার চেয়েও কম নম্বর পেয়েছে ইতিহাসে। রিয়ার বাবা রিয়াকে বললেন, “অঙ্কে তোমার মাথা নেই বলে না হয় কম নম্বর পাও। কিন্তু ইতিহাসে কী করে কম পেলে?”

রিয়া বলল, “ইতিহাস পরীক্ষায় প্রত্যেকবারই যেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়, সেগুলো আমার জন্মের অনেক আগে ঘটে গিয়েছে। আমি সেগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য কী করে জানব বাবা?”

⥮৩⥯

রাইকে প্রথম দিন বাড়িতে পড়াতে এসেই একটা সোজা অঙ্ক করতে দিলেন গৃহশিক্ষিকা। কিন্তু রাই সেটা না পারায় তিনি রাইয়ের মাকে কমপ্লেন করলেন। এর পর রাইয়ের মা রাইকে ডেকে জিজ্ঞেক করলেন, “তুমি অঙ্কটা পারলে না কেন?”

রাই বলল, “ওটা আমার পক্ষে না পারাই স্বাভাবিক। ম্যাডাম বলছিলেন যে, ওটা পাঁচ বছরের বাচ্চারা পারে। কিন্তু আমার তো গত মাসেই ১০ বছর বয়স পূর্ণ হয়ে গেল!”

⥮৪⥯

কয়েকদিন ধরেই সঠিক ডায়োট নিয়ে পড়াশোনা করতে ব্যস্ত অঞ্জন। প্রচুর জ্ঞান অর্জন করে সে তার বন্ধুকে বিজ্ঞের মতো জিজ্ঞেস করল, “এমন দু’টো জিনিসের নাম কর তো যা ব্রেকফাস্টে খাওয়া উচিত নয়!”

অঞ্জনের কথা শুনে তার বন্ধু খুব হেসে উত্তর ‍দিল, “এক নম্বর হল লাঞ্চ। আর দু’নম্বর হল ডিনার।”

⥮৫⥯

ভূমিকম্প কেন হয়, এর ফলাফল কী, তা নিয়ে প্রায় এক ঘন্টা ধরে ক্লাস নিলেন ভূগোলের শিক্ষক কমলেশবাবু। এর পর তিনি বললেন, “কারও কোনও প্রশ্ন থাকলে করতে পার।”

শিশির হঠাৎ জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা স্যার, ভূমিকম্প মানে আর্থকোয়েকের সময় গরুগুলো কী করে?”

কমলেশবাবু ভারী থতমত খেয়ে কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, “এর উত্তর আমার জানা নেই। তোমরা কি কেউ জানো?”

দিয়া সঙ্গে-সঙ্গে বলল, “ভূমিকম্প হলে গরুর থেকে সরাসরি মিল্পশেক পাওয়া যায়!”

⥮৬⥯

রমেশবাবু রেডিওর দোকানে গিয়ে খুব চেঁচামেচি জুড়ে দিলেন। দোকানদারকে প্রতারক বলেও গালাগাল দিতে লাগলেন। দোকানদার তাঁকে বললেন, “আপনি শান্ত হয়ে বসে আগে বলুন, আমি কীভাবে আপনার সঙ্গে প্রতারণা করেছি!”

রমেশবাবু বললেন, “কাল যখন আমি রেডিও কিনলাম, আপনি বলছিলেন, এটা আমেরিকান মেড রেডিও। শুধু আমরিকায় তৈরি শুনেই আমি এত টাকা খরচ করে রেডিও কিনলাম। কিন্তু আজ সকালে রেডিও চালাতেই শুনলাম, ‘ওয়েলকাম টু অল ইন্ডিয়া রেডিও’!”

⥮৭⥯

একজন ডাক্তারবাবু বুঝতে পারলেন পনেরো দিন ধরে তিনি যে রোগী চিকিৎসা করছেন, তিনি সুস্থ হয়ে ওঠা তো দূরের কথা, বড়জোর আর দু’-তিন ঘন্টা বাঁচবেন। তিনি তাঁর রোগীকে গিয়ে বললেন, “আপনাকে সবকিছু জানিয়ে দেওয়াই ভাল। আপনি আর বড়জোড় দু’-তিন ঘন্টা বাঁচবেন। আপনার যদি এর মধ্যে কারও সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে থাকে আপনি আমাকে বলুন। আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।”

ভদ্রলোক ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে বললেন, “হ্যাঁ, আমি একজন ভাল ডাক্তারের সঙ্গে এক্ষুনি দেখা করতে চাই।”

⥮৮⥯

দু’জন সন্ত্রাসবাদী এক মন্ত্রীর গাড়িতে বোমা রাখার জন্য রওনা দিল। যাওয়ার সময় সব জিনিসপত্র ঠিকঠাক নেওয়া হয়েছে কিনা ভাল করে দেখে নিল। গাড়ির কাছে পৌঁছে প্রথম জন জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা, গাড়িতে রাখার সময় বোমাটা যদি ফেটে যায়!”

দ্বিতীয় জন বলল,  “চিন্তা করিস না, আরও একটা বোমা সঙ্গে নিয়ে এসেছি।”

⥮৯⥯

বিজনবাবুকে তাঁর গিন্নি যা জিনিস আনতে দেন, তিনি সবই নিয়ে আসতে ভুলে যান। এই নিয়ে রোজই তাঁর গিন্নির সঙ্গে অশান্তি লেগে থাকে। ভদ্রমহিলার ভীষণ আংটি পরার শখ ছিল। এই নিয়ে বিজনবাবুকে বলবেন ভেবেও বলতে পারেননি। এর পর বিবাহবার্ষিকীর দিন বিজনবাবু যখন অফিসে যাচ্ছেন, তখন গিন্নি বললেন, “আজ আমাকে একটা রিং দিও, প্লিজ।”

এ কথা শুনেই বিজনবাবু ভারী নিশ্চিন্ত হয়ে বললেন, “উফ, বাঁচলাম। আজ আর জিনিস আনতে ভুলে যাই বলে তোমার সঙ্গে ঝগড়া হবে না। তা তোমাকে কোথা থেকে রিং দেব, মোবাইল না অফিসের ল্যান্ডলাইন থেকে?”

⥮১০⥯

চাকরির পরীক্ষা দিতে গিয়েছে সঞ্চিতা। ইন্টারভিউয়ার তাকে প্রথমেই জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার জন্মদিন কবে?”

সঞ্চিতা উত্তর দিল, “২৯ মে।” এদিকে সঞ্চিতা ইন্টারভিউয়ারের হাবভাব দেখেই বুঝতে পারছিল তিনি তাকে অপদস্ত করার চেষ্টা করছেন। তাই সঞ্চিতা মনে-মনে জম্পেশ জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েই ছিল।

এর পর তিনি সঞ্চিতাকে বললেন, “জানো না, জন্মদিন জিজ্ঞেস করলে বছরের কথা উল্লেখ করতে হয়? না হলে কবে জন্মেছ বুঝব কী করে?”

সঞ্চিতা জবাব দিল, “কোনও নির্দিষ্ট বছরের কথা বলি কী করে? প্রতি বছরই তো ২৯ মে আমার জন্মদিন থাকে।”

⥮১১⥯

বাসে চড়ে দীপকবাবু বেড়াতে যাচ্ছেন। তিনি দেখলেন তাঁর পাশের ভদ্রলোক একটা দূরবিন নিয়ে বসে রয়েছেন, কিন্তু একবারও দূরবিন দিয়ে বাইরে দেখার কোনও চেষ্টাই করছেন না। তখন দীপকবাবু ভারী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি যদি দূরবিন দিয়ে বাইরে না-ই দ্যাখেন,তবে ওটা হাতে নিয়ে বসে রয়েছেন কেন?”

ভদ্রলোক বললেন, “আরে মশাই, আমি দূর সম্পর্কের আত্মীয়র সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। তাই দূরবিন নিয়ে পুরোপুরি তৈরি!”

⥮১২⥯

রুমনদের ক্লাসে এক দিন শিক্ষক নির্মলবাবু জলের রাসায়নিক ফর্মুলা বোর্ডে লিখতে বললেন। রুমন বোর্ডে গিয়ে লিখল HIJKLMNO. তাই দেখে রুমনকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি এটা কেন লিখলে? রুমন খুব অবাক হয়ে বলল, “কেন? আপনি তো কাল বললেন যে, জলের রাসায়নিক ফর্মুলা এইচ টু ও!”

⥮১৩⥯

তপনবাবু আর দেবকীবাবু চা খেতে-খেতে গল্প করছেন। কথা প্রসঙ্গে তপনবাবু ইংলিশ চ্যানেল নিয়ে গল্প শুরু করলেন। কিছুক্ষণ পর তিনি বুঝতে পারলেন যে, দেবকীবাবু প্রায় চুপ করে গিয়েছেন। তিনি দেবকীবাবুকে জিজ্ঞেস করলেন, “কী হল, আপনার বুঝি বিষয়টা পছন্দ হয়নি?”

দেবকীবাবু বললেন, “আর বলবেন না, আমাদের কেবল অপারেটর এই চ্যানেলটা দেয়নি। তাই এ বিষয়ে কিছুই জানি না যে, আপনার সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেব!”

⥮১৪⥯

গুপি আর গুবলু দু’জনই গুলবাজ। নিজেরা কথা বলছিল। দু’জনই তাদের পরিবারের কৃতিত্ব জাহির করতে ব্যস্ত। গুপি বলল, “তুই কি সুয়েজ ক্যানেলের কথা শুনেছিস?”

গুবলু বলল, “হ্যা।”

গুপি বলল, “ওটা আমার বাবা খুঁড়েছেন।”

তা শুনে গবলু বলল, “তুই ডেড সি-র কথা শুনেছিস? ওটা কিন্তু আমার বাবাই মেরেছেন। বুঝতেই পারছিস, এর চেয়ে কঠিন কাজ আর কিছুই হতে পারে না।”

⥮১৫⥯

ইতিহাস ক্লাসে শিক্ষক প্রমথবাবু বললেন, “বলো তো, নেপোলিয়নের যখন ৪১ বছর বয়স হল, তখন তিনি কী হয়েছিলেন?”

সারা ক্লাসের কেউই বলতে পারল না। তখন অনিকেত হঠাৎ বলল, “আমি উত্তরটা জানি স্যার। আরও এক বছরের বড় হয়েছিলেন!”

⥮১৬⥯

রিমলিকে ওর মা জিজ্ঞেস করলেন, “আজ পরীক্ষার প্রশ্ন কেমন এসেছিল?”

রিমলি বলল, “একদম সোজা।”

রিমলির মা বললেন, “তা হলে তোর মন খারাপ কেন?”

রিমলি বলল, “কারণ প্রশ্নের উত্তরগুলো আমার জানা ছিল না।”

⥮১৭⥯

ধীরাজবাবু আর অনিমেষবাবু সৈনিকদের জীবনযাত্রা নিয়ে গভীর আলোচনা করছেন। ধীরাজবাবু বললেন, “সত্যিই ওঁদের বড্ড খাটতে হয়। বাড়ি থেকে এত দূরে থাকতে হয়। আর বিশেষ করে মার্চ মাস এলে তো ওঁদের পাগল-পাগল অবস্থা হয়।”

অনিমেষবাবু প্রচুর ভেবে বললেন, “সবই তো বুঝলাম। কিন্তু হঠাৎ মার্চ মাসে ওঁদের বিশেষ কী করতে হয়?”

ধীরাজবাবু হেসে বললেন, “আরে বিশেষ কী, ওটাই তো খাটনির সময়। ‘মন্থ অফ দ্যা মার্চ’ বলে কথা!”

⥮১৮⥯

রমেনবাবু আর উপেনবাবু বারান্দায় বসে দাবা খেলছিলেন। এমন সময় তাঁদের দু’বন্ধু এসে হাজির। তাঁরা ভারী উৎসাহী হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “আরে তোমরা কী করছ? আমরা একা-একা বসে না থেকে তোমাদের সঙ্গে গল্প করতে চলে এলাম।”

তা শুনে রমেনবাবু বললেন, “তোমরা বেশ মজা করে সময় কাটাতে বরং দাবা খ্যালো।”

শুনে পরে আসা ভদ্রলোক দু’জনই ভারী খুশি হয়ে বললেন, “হ্যাঁ, হ্যাঁ, চলুন ডাবল্‌স খেলা যাক!”

⥮১৯⥯

এক ভদ্রলোক একজন বিজ্ঞানীকে জিজ্ঞেস করলেন, “বলুন তো গ্রাভিটির সেন্টারে কী রয়েছে?”

বিজ্ঞানী বিভিন্ন তত্ত্বকথা ভাবতে শুরু করলেন।

ভদ্রলোক হেসে বললেন, “এতে এত ভাবার কী রয়েছে। গ্রাভিটির সেন্টারে যে ‘ভি’ রয়েছে, সেটা তো দেখাই যাচ্ছে।”

⥮২০⥯

বিবেকবাবু নতুন গাড়ি কিনে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন। যাওয়ার সময় ঘন্টা চারেক সময় লাগল বলে তিনি তাঁর মাকে ফোন করে জানালেন, “মা, সন্ধের মধ্যেই ফিরে যাব, চার ঘন্টার মতো সময় লাগবে।”

কিন্তু সন্ধে পেরিয়ে পরের দিন হয়ে গেল, বিবেকবাবুর দেখা নেই। শেষে বিবেকবাবু যখন বাড়ি ফিরলেন, তাঁর মা ভারী অবাক হয়ে এত দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলেন। বিবেকবাবু বললেন, “গাড়ির কোম্পানি গাড়িটা নিতান্তই বাজে বানানোর জন্য এই বিপত্তি। এগনোর জন্য তো গাড়িতে চারটে গিয়ার দিয়েছে, কিন্তু পিছনোর জন্য শুধু একটাই গিয়ার। তাই বড্ড দেরি হয়ে গেল।”

⥮২১⥯

গুবলু মাত্র এক মাস হল কলকাতায় এসেছে। এর আগে ও পাঞ্জাবে থাকত। পাশের বাড়ির ভদ্রলোক গুবলুকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কোথায় জন্মেছ?”

গুবলু বলল, “পাঞ্জাবে।”

ভদ্রলোক বললেন, “পাঞ্জাবে কোন অংশ?”

গুবলু বলল, “পুরো আমি।”

⥮২২⥯

পরিমলবাবু বললেন, “আমার ছেলে মেডিক্যাল কলেজে অ্যাডমিশন নিয়েছে।”

তাই শুনে কল্যাণবাবু বললেন, “আরে এ তো দারুণ খবর। তা কী নিয়ে পড়ছে?”

পরিমলবাবু বললেন, “ও পড়ছে না, ওকে নিয়ে পড়াশোনা হচ্ছে।”

⥮২৩⥯

কলকাতার যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছে দু’জনের মধ্যে। প্রথমজন কলকাতায় থাকেন এবং দ্বিতীয় জন এই প্রথম কলকাতায় এসেছেন। দ্বিতীয় জন জিজ্ঞেস করলেন, “তাড়াহুড়োর সময় এখানে কীসে যাতায়াত করা উচিত? আর হাতে সময় থাকলে কোন ট্রান্সপোর্ট উপযুক্ত হবে? আসলে আপনি তো অনেক দিন কলকাতায় রয়েছেন। তাই ভাবলাম আপনার সঙ্গে একটু পরামর্শ করে নিই।”

প্রথম জন হেসে বললেন, “বিলক্ষণ। যদি আপনার হাতে অনেক সময় থাকে তা হলে নিশ্চিন্তে কোনও পাবলিক বাসে বা ট্রামে উঠে পড়বেন। আর যদি কাজের খুব তাড়া থাকে, তা হলে হাঁটলেই সবচেয়ে ভাল।”

⥮২৪⥯

তমালবাবু হঠাৎ খুব উত্তেজিত হয়ে সারা ঘরে কী যেন খুঁজতে লাগলেন। তা দেখে তাঁর বউ জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি সারা ঘরে কী খুঁজে বেড়াচ্ছ? আমি কি সাহায্য করব?”

তমালবাবু বললেন, “আরে আমি নিশ্চিত যে, ঘরে কেউ গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছে। আমার প্রতি পদক্ষেপের উপর কেউ কড়া নজর রাখছে।”

তমালবাবুর বউ ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “সে কী গো! তুমি কী করে বুঝল?”

তমালবাবু অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে বললেন, “তুমি এত বোকা কেন! দেখছ না, টিভিতে বলছে, ‘আপনি দেখছেন চ্যানেল এবিসি।’ তা ঘরে গোপন ক্যামেরা না লাগিয়ে রাখেলে ওরা কী করে জানল যে, আমি ঠিক এখনই চ্যানেল এবিসি দেখছিলাম। সেজন্যই তো বুঝলাম যে, কোনও কারণে কেউ আমার উপর নজর রাখছে।”

⥮২৫⥯

ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার জন্য এক পাঞ্জাবি ভদ্রলোক তাঁর সমস্ত মার্কশিট ফটোকপি করতে নিয়ে গেলেন। ফটোকপি করার পর দোকানদার ফটোকপির জন্য টাকা চাইল।

ভদ্রলোক তখন বললেন, “দাঁড়াও,  আগে আসল মার্কশিটের সঙ্গে কপিটা মিলিয়ে দেখি নম্বরগুলো ঠিকঠাক রয়েছে কিনা। তারপর তো টাকা দেব!”

⥮২৬⥯

কুট্টুরেস মা জানতে পারলেন যে, কুট্টুস দু’দিন স্কুলে যায়নি। পরের দিন কুট্টুস স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সঙ্গে-সঙ্গে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “আমি জানি, তুমি সারাদিন ফুটবল মাঠে ছিলে। এটা তুমি মোটেও ঠিক করোনি।”

কুট্টুস বলল, “না গো মা।”

তাই শুনে মা বললেন, “মিথ্যা কথা বলে লাভ নেই। আমি স্কুলে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, তুমি স্কুলে যাওনি।”

কুট্টুস বলল, “সত্যি আমি ফুটবল মাঠে যাইনি মা। আমি তো মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। এই দ্যাখো, মাছ নিয়ে এসেছি।”

⥮২৭⥯

শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন, “বলো তো, কেন শীতকালে পাখিরা দক্ষিণ দিকে উড়ে যায়?”

পিউ বলল, “কারণ, অত দূর হেঁটে যাওয়া সম্ভব নয় বলে”

⥮২৮⥯

দোলা প্রথম দিন স্কুল থেকে ফেরার পর তার বাবা জিজ্ঞেস করলেন, “প্রথম দিন তুমি স্কুলে কী শিখলে?”

দোলা বলল, “কী করে মুখ না নাড়িয়ে কথা বলা যায়!”

⥮২৯⥯

রেজাল্ট বেরনোর পর দেখা গেল পার্থ দু’টো পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। পার্থর বাবা ভারী অবাক হয়ে বললেন, “তুমি তো পরীক্ষার দিন স্কুলে গিয়েছিলে। তা হলে পরীক্ষার হলে অনুপস্থিত ছিলে কেন?”

পার্থ বলল, “আমার পাশে যার বসার কথা ছিল তার জ্বর হয়েছিল, সেজন্যই তো পরীক্ষা দিতে পারলাম না।”

⥮৩০⥯

রেজাল্ট বেরনোর পর তুহিন দেখল, ও অংকে শূণ্য পেয়েছে। যদিও ও একেবারেই পড়াশোনা করেনি, তাও শিক্ষককে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, “আমি কিন্তু শূন্য পাওয়ার মতো লিখিনি স্যার।”

শিক্ষক বললেন, “আমি সেটা জানি। কিন্তু শূন্যের চেয়ে কম নম্বর তো আমাদের স্কুলে দেওয়া যায় না। তা হলে তোমাকে নিশ্চয়ই দিতাম!”

⥮৩১⥯

প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে এসে পিসিমা জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার স্কুলে যেতে কেমন লাগে?”

প্রিয়াঙ্কা বলল, “স্কুলে যেতেও দারুণ লাগে, স্কুল থেকে ফিরতেও দারুণ লাগে। শুধু মাঝের সময়টা ভাল লাগে না।”

⥮৩২⥯

বাবার কাছে অংকের খাতা নিয়ে গিয়ে তীর্থ বলল, “বাবা, এই ল.সা.গু’র উত্তরটা খুঁজে পাচ্ছি না?”

তীর্থর বাবা বললেন, “সে কী! এখনও আবিষ্কার হয়নি! আমি তো সেই ছেলেবেলায় খুঁজেছিলাম।”

⥮৩৩⥯

ইন্টারভিউ বোর্ডে শুভঙ্গরকে ইন্টারভিউয়ার প্রশ্ন করলেন, “ইউনাইটেড স্টেট্‌স-এর ২০ তম রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে আপনার কী মত?”

শুভঙ্কর একটু ভেবে বলল, “ঠিক বলতে পারব না। একেবারেই আলাপ নেই বলতে পারেন!”

⥮৩৪⥯

ইতিহাসের শিক্ষক এক দিন পড়াতে-পড়াতে বললেন, “জানো কি, জর্জ ওয়াশিংটনকে কেন মাউন্ট ভারনন-এ সমাধিস্থ করা হয়েছিল?”

তিথি বলল, “হ্যাঁ জানি। উনি মারা গিয়েছিলেন বলে।”

⥮৩৫⥯

তিন জন লোক নিজেদের স্মার্টনেস নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এমন সময় ভাগ্যদেবী এসে তাঁদের জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা বলো কে কী চাও?”

প্রথম জন বললেন, “আমি আরও ৪০ শতাংশ বেশি স্মার্ট হতে চাই।”

দ্বিতীয় জন বললেন, “আমি আরও ৮০ শতাংশ বেশি স্মার্ট হতে চাই।”

তৃতীয় জন বললেন, “আমি পুরো ১০০ শতাংশ স্মার্ট হতে চাই।”

ভাগ্যদেবী বললেন, “তা হলে কিন্তু আপনার মধ্যে কিছু পরিবর্তন আসবে। আপনার কোনও আপত্তি নেই তো?”

তৃতীয় জন রাজি হয়ে যেতেই ভাগ্যদেবী তাঁকে ১০০ শতাংশ স্মার্ট করে দিলেন্।

তৃতীয় জন উৎসাহিত হয়ে নিজেকে দেখতে গিয়ে বুঝলেন, তিনি একজন মহিলা হয়ে গিয়েছেন।

⥮৩৬⥯

শিক্ষক অঙ্কিতাকে বললেন, “তুমি কিন্তু সত্যিই ভুগোল পড়ায় মন দিচ্ছ না। কেন বলো তো?”

অঙ্কিতা বলল, “বাবা সেদিন বলেছিলেন, পৃথিবীর মানচিত্রে রোজই নিত্যনতুন পরিবর্তন ঘটছে। তাই আমি ভাবলাম, আগে পরিবর্তনগুলো হয়ে সব ঠিকঠাক হোক। তারপর একেবারে পুরোটা পড়ব।”

⥮৩৭⥯

বেশি কান্নাকাটি করলে শুচিকে ওর মা চকোলেট কিনে দেন। এক দিন শুচি হঠাৎ মাকে গিয়ে বলল, “কই, আমার চকোলেট দাও।”

মা বললেন, “কোন, তোমার চোখে তো আজ জল নেই!”

শুচি বলল, “আছে, চোখের ভিতরে। চকোলেট না দিলেই বেরিয়ে আসবে।”

⥮৩৮⥯

ইতিহাসের শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন, “বলো তো, রাজসিংহাসন পাওয়ার পর রানি এলিজাবেথ প্রথম কী করেছিলেন?”

ক্লাসের ছাত্ররা একসঙ্গে চেঁচিয়ে বলল, “সিংহাসনেই বসে পড়েছিলেন!”

⥮৩৯⥯

ইন্টারভিউ রুম থেকে বেরিয়ে সায়ক দেখল কেউই একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। প্রশ্নটা ছিল, এক বছরে ক’টা সেকেন্ড?

সায়ককে যখন অন্য বন্ধুরা জিজ্ঞেস করল, সে বলল, “আমি তো বললাম ১২ টা, ২ জানুয়ারি, ১২ জানুয়ারি আর ২২ জানুয়ারি........।”

⥮৪০⥯

ইতিহাস পড়াতে-পড়াতে শিক্ষক বললেন, “কখনও ভেবে দেখেছ কি, ইতিহাস বারবার রিপিট হয় কেন?”

পরিমল বলল, “কারণ, প্রথমবার শুনে মনে রাখতে পারি না বলে।”

⥮৪১⥯

এক জায়গায় বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ প্রচুর পাখি উড়ছে দেখে একজন সর্দার পাখি গোনা শুরু করলেন। তাঁকে কিছুক্ষণ ধরে একজন লোক লক্ষ করছিল। এবার সে সর্দারকে বোকা বানানোর জন্য এগিয়ে গিয়ে বলল, “আপনি এখানে পাখি গুনছেন। আইন অনুসারে এখানে প্রতিটি পাখি গোনার জন্য এক টাকা করে দিতে হয়। তা আপনি ক’টা পাখি গুনেছেন?”

সর্দার ২০ টাকার নোট দিয়ে বললেন, “আমি ২০ টা পাখি গুনেছিলাম।”

লোকটা টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার পর সর্দার তাঁর বউকে হেসে বলল, “দেখলে তো, লোকটা কেমন বোকা বনে গেল! আমিম আসলে তখন ৫৬ টা পাখি গুনে ফেলেছিলাম। শুধু বুদ্ধির জোরে ৩৬ টাকা বেঁচে গেল।”

⥮৪২⥯

তিন বন্ধু একটা অঙ্ক নিয়ে বেট ফেলল। বিকেল পাঁচটার সময় কথা হল, যে ঠিক ছ’টার মধ্যে অঙ্কটা করে ফেলতে পারবে, তাকে অন্য দু’জন খাওয়াবে। প্রথম দু’জন যথারীতি ছ’টা বেজে যাওয়ার পরও অঙ্কটা করতে পারল না। তৃতীয় জন বাড়ির স্যারকে দিয়ে অঙ্কটা করিয়ে নিয়ে এসে অন্য দু’জনকে দেখাল এবং তার ঘড়িতে তখন ঠিক ছ’টা বাজে। অন্য দু’জন কিছু বলার আগেই সে বলল, “আমার ঘড়ি পাঁচটার পর এক ঘন্টা স্লো হয়ে গিয়েছে।”

⥮৪৩⥯

অঙ্কের শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন, “বলো তো, এইটের অর্ধেক কত হয়?”

বুকুন জিজ্ঞেস করল, “উপর নীচ না মাঝামাঝি স্যার?”

শিক্ষক কিছুই বুঝতে না পেরে অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকলেন।

বুকুন বলল, “উপর-নীচ হলে থ্রি। আর মাঝামাঝি হলে শূণ্য।”

⥮৪৪⥯

বিল্টু টুকাইকে বলল, “যদি রেড হাউস ডান দিকে হয়, আর ব্লু হাউস বাঁ দিকে হয়, তা হলে হোয়াইট হাউস কোথায়?”

টুকাই বলল, “ওয়াশিংটন ডিসি।”

⥮৪৫⥯

বাবাই তিতিরকে বলল, “ডেভিডের বাবার তিন ছেলের দৃ’জনের নাম স্ন্যাপ, ক্র্যাকার। তৃতীয় জনের নাম কী?

তিতির বলল, “অবশ্যই ডেভিড।”

⥮৪৬⥯

এক জন পাঞ্জাবি এবং এক জন বাঙালির মধ্যে দেশপ্রেম নিয়ে ঝগড়া লাগল। দু’জনে ঠিক করল, একজন করে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে এমন লোকের নাম যে করতে পারবে, সে অন্য জনের থেকে এক টাকার কয়েন পাবে। প্রথম কিছুক্ষণ দু’জনেই সমান টাকা পেল। এর পর দু’জনের কারও নাম মনে পড়ছে না। এরকম অবস্থায় বাঙালি ভদ্রলোক বানিয়ে-বানিয়ে নাম বলতে লাগলেন। ঠিক এমন সময় পাঞ্জাবি ভদ্রলোক, বাঙালির কাছ থেকে সমস্ত টাকা কেড়ে নিয়ে বলল, “জালিয়ানওয়ালাবাগ।”

⥮৪৭⥯

জুরাসিক পার্ক’ সিনেমা দেখতে গিয়ে এক ভদ্রলোক ডাইনোসর দেখে বেশ ভয় পেয়েছেন দেখে পাশের ভদ্রলোক বললেন, “আরে, আপনি এত ভয় পাচ্ছেন কেন? এ তো সিনেমা।”

প্রথম জন বললেন, “জানি এটা সিনেমা। কিন্তু ডাইনোসরদের কী আর এত বুদ্ধি আছে যে, ওরা বুঝছে এটা সিনেমা। সেজন্য সতর্ক হচ্ছি।”

⥮৪৮⥯

পুলকেশবাবু অত্যন্ত মন খারাপ করে বসে রয়েছেন দেখে নরেনবাবু জিজ্ঞেস করলেন, “আপনার মন খারাপ কেন?”

পুলকেশবাবু বললেন, “আমি কাল ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে বাজি ধরে ৮০০ টাকা হেরে গিয়েছি।”

নরেনবাবু বললেন, “৮০০ টাকা বাজি ধরলেন কেন? কম টাকা বাজি ধরতে পারতেন। তা হলে এত টাকা লোকসান হত না।”

পুলকেশবাবু বললেন, “আমি তো ক্রিকেট ম্যাচের জন্য মাত্র ৫০০ টাকার বাজি ধরেছিলাম। কিন্তু হাইলাইটসের জন্য কি ৩০০ টাকার কম ধরা যায়? যতই হোক, নিজের দেশ খেলছিল বলে কথা!”

⥮৪৯⥯

বিজনবাবু তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে যাবেন বলে এয়ারপোর্টে পৌঁছলেন। প্রয়োজনের তুলনায় তাঁরা যে অতিরিক্ত লাগেজ নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিজনবাবু স্ত্রীকে বললেন, “তুমি আলমারিটাও নিলে পারতে।”

বিজনবাবুর স্ত্রী বললেন, “কেন শুধু-শুধু মজা করছ? আমি না হয় একটু বেশিই সাজের জিনিস নিয়েছি।”

বিজনবাবু বললেন, “মজা করব কেন? টিকিট দু’টো তো আলমারির মধ্যেই রয়েছে। তাই বলছি, আলমারিটা নিয়ে এলেই ভাল হত।”

⥮৫০⥯

রামবাবু পাঁচ টাকা দিয়ে একটা লটারির টিকিট কিনে তা থেকে দু’ লক্ষ টাকা জিতলেন। রামবাবু লটারির দোকনে গিয়ে বললেন, “আমি লটারি জিতেছি। আমার এখনই দু’লক্ষ টাকা চাই।”

দোকানের মালিক তাঁকে বললেন, “আপনি এখন এক লক্ষ টাকা পাবেন। বাকি এক লক্ষ টাকা আমরা আপনাকে আগামী ১৯ মাসের মধ্যে দিয়ে দেব।”

রামবাবু অত্যন্ত রেগে গিয়ে বললেন, “আমি ওসব জানি না। লটারি জিতেছি। এসব চালাকি চলবে না। হয় আমার পাওনা দু’লক্ষ টাকা এখনই দিন। আর তা না পারলে আমাকে টিকিটের দাম ফেরত দিন।”