এক কালজয়ী মহাপুরুষ চাই
সুজলা সুফলা এই মাটিতে মহাসংকটে;
ছটফট করে অসহায় মানুষের এখন জীবন কাটে।
সংকট উত্তরণে চাই মহাজ্ঞানী এক মহাজন;
হতাশা করিয়া দূর, আশা আকাংখা পুরণ
করিতে জাতির চাই বিবেকবান এক মহাপুরুষ।
অভাগা জাতি আজ হয়ে গেছে অন্ধ বেহুশ।
দিতে হবে প্রাণে প্রাণে নব জাগরণ;
নব দিগন্তের দ্বার আবার করতে হবে উন্মোচন,
এই মাটিতে। সংকট উত্তরণে তাই
আমি এক কালজয়ী মহাপুরুষ চাই।
জীবনে যার আপামর জন সাধারণ
চিন্তায় চেতনায় জড়িয়ে থাকবে সারাক্ষণ।
ধীর, স্থির শান্ত প্রকৃতির, সুমধুর ব্যবহার
মঙ্গল সাধনে যার দৃঢ় কঠিন অঙ্গীকার
নহে পরশ্রীকাতর! মিতব্যয়ী; কঠোর পরিশ্রমী
এক কালজয়ী মহাপুরুষ চাই আমি।
হে বিশ্ব বিধাতা,
তুমি সর্বকালে সকলের মুক্তিদাতা।
যুগে যুগে তুমি পাঠিয়েছ কত মহাপুরুষ
যখনি দেখেছ কোথাও বিপথগামী মানুষ।
এই মাটিতে আজ দ্বন্দ হানাহানি;
বিভেদের পায়তারায় অশুভ এক হাতছানি।
প্রতিদিন ঝড়ে পরে হেথায় কত রক্ত,
জাতীয় চেতনা আজ খন্ডে খন্ডে বিভক্ত।
নেতার আসনে আসীন হয়ে আছে যারা আজ
কোথায় শরম, কোথায় লাজ, সকলে ধান্ধাবাজ।
এ মাটির মানুষ আজ বড় অসহায়।
দিন যায় রাত যায় শুধু উৎকন্ঠায়।
আকাশে বাতাসে ভাসে করুণ ক্রন্দন
করুণায় ভরে দাও তুমি এই সংকট উত্তরণ।
উদ্ধার করিতে এই সব বিপদগ্রস্থ মানুষ
দাও, দাও প্রভু! দাও এক কালজয়ী মহাপুরুষ।

0 মন্তব্যসমূহ