বিরহী
বৈশাখের রুদ্র ঝড়ে
ধরণীর অশান্ত ক্রোড়ে
চারিদিক ছাইয়া
প্রকম্পিত করিয়া
শাখা প্রশাখায় তুলিয়া আন্দোলন
বহিছে উন্মত পবন।
ঘন ঘন মেয়ে গর্জন
ঝরে ঝরে দেয়ার বরিষন
আকাশ বাতাস ভূতল
চকিতে চকিতে বিহবল।
পলকে পলকে
বিজরীর চমকে
কাঁপিয়া কাঁপিয়া
উঠিছে হিয়া ঘন অন্ধকার
রুদ্ধ দুয়ার
রাত্রি দ্বিপ্রহরে
জেগে আছি একা ঘরে।
একদা এই ঘর
ছিল আনন্দ মুখর
লাজে রাঙ্গা প্রেয়সী
অধরে তুলিয়া হাসি
দাঁড়াতো পাশে আসি
এই লগনে সেই স্মৃতি মনে উঠে উছসি।
কংকন ভরা হাতে
ফুল সাজি সাজাতে সাজাতে
বার বার আড় নয়নে
চাইত আমার পানে
ঈশারায় কছে ডেকে
হাত খানি হাতে রেখে
ডাকিতাম প্রিয়া নাম ধরে
সেই সব স্মৃতি আজ বার বার মনে পড়ে
কোথাও দূরে গেলে
ফিরিতে দেরী হলে
অভিমান করে
রহিত প্রিয়া দূরে দূরে
পাশে নিয়ে বসে
প্রতীক্ষা করে শেষে
সোহাগে আদরে
মান ভঞ্জন করে
ফুটাইতাম অধরে তার মধুর হাসি,
মনের মুকুরে আজ সেই হাসি উঠে উছসি
আমায় ছেড়ে
জীবনের তরে
প্রিয়া গেছে বহুদুরে
পাবোন আর কভু তারে ফিরে।
রাত্রি তৃতীয় প্রহর
সহসা মোর
এই লগনে
হৃদয় কোণে
মনের গহনে
স্মৃতি রোমন্থনে
বিরহে অন্তর
কাঁপিয়া উঠিয়া থরথর
নয়নে অশ্রু ঝরিয়া ঝর ঝর
হৃদয়ে বাহিয়া উঠিল প্রবল ঝড়।
বাহিরে এখন শান্ত প্রকৃতি;
আকাশ ভরাচন্দ্র কান্তি।

0 মন্তব্যসমূহ